বেশীরভাগ মহিলা যারা জেস্টাশেনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন মধুমেহের দ্বারা আক্রান্ত, তারা সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। তবে, সেক্ষেত্রে সবথেকে সদর্থক ভূমিকা পালন করে থাকে সঠিক চিকিৎসা। কিন্তু সঠিক সময়ে যদি এই সমস্যা ধরা না পড়ে ও প্রতিরোধ না করা যায়, তবে সেক্ষেত্রে মা এবং সন্তান দুজনেরই কিছু সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়াও, গর্ভকালীন মধুমেহের দ্বারা কিছু গুরুতর সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তবে, যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হয়, একমাত্র সেই সময়েই এই সম্ভাবনা থাকে। যদি গর্ভাবস্থায় রক্ত শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, তাহলে শিশুর রক্তে খুব বেশী পরিমাণত গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুর দেহে অতিরিক্ত শর্করা তরান্বিত করতে অগ্নাশয়কে অতিরিক্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে হয়। এরফলে অতিরিক্ত শর্করা এবং ইনসুলিনের কারণে শিশুর ওজন খুব বেশী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে ম্যাক্রোসোমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়, যা শিশু ভ্রূণ অবস্থায় থাকাকালীন বা জন্মের পরেই মাত্রাতিরিক্ত ওজনের শিকার হয়ে পড়ে।
আপনার যদি গর্ভবতী থাকাকালীন এবং সন্তান প্রসবের সময় উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাহলে জন্মানোর পর শিশুদের মধ্যে তা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে শিশুদের মধ্যে লো সুগার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর কারণ, শিশুর শরীর মায়ের শরীরের ইন্স্যুলিনের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পরিমাণে ইন্স্যুলিন তৈরি করতে থাকে। যদি, গর্ভকালীন মধুমেহ চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে তা শিশুর হার্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Disclaimer: Medical Science is an ever evolving field. We strive to keep this page updated. In case you notice any discrepancy in the content, please inform us at [email protected]. You can futher read our Correction Policy here. Never disregard professional medical advice or delay seeking medical treatment because of something you have read on or accessed through this website or it's social media channels. Read our Full Disclaimer Here for further information.