আমাদের আশেপাশে এমন বহু মানুষ আছেন, যারা যে কোনও কারণে দুশ্চিন্তা করলে ভাবেন যে, তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। আদতে এটি খুবই ভুল ধারণা। মনে রাখা দরকার যে, দুশ্চিন্তা এবং অবসাদ মানুষের চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার দুটি ভিন্ন মাত্রাকে নির্দেশ করে থাকে।
দুশ্চিন্তা হল, আমরা জীবনে যা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হই, তার প্রতি এক স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়া। অন্যদিকে, অবসাদ হল, দুশ্চিন্তার কারণে শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত হারে অ্যাড্রিনালিন হরমোন নিঃসরণ হওয়া এবং এর ফলস্বরূপ মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়া।
আমরা যে কোনও কারণেই দুশ্চিন্তার শিকার হতে পারি। সেটা আমাদের জীবনের কোনও ভালো সূচনা হতে পারে অথবা যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিও হতে পারে। আর এমন হওয়ার প্রধান কারণ হল, যে কোনও পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা উদ্রেককারী ফ্যাক্টর বা স্ট্রেসর-এর কার্যকলাপ। এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটাচ্ছেন। এই ধরণের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা সবথেকে বেশী। সেক্ষেত্রে মানসিক অবস্থার অবনতির জন্য স্ট্রেসর যদি প্রভাব বিস্তার করা বন্ধও করে দেয়, তাও অবসাদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। কোনও ব্যক্তি যখন মানসিক অবসাদের দ্বারা আক্রান্ত হন, তখন তার মনে নানা কারণে ভয়ের উদ্রেক হয়। তিনি যে কোনও বিষয়ে বা ভবিষ্যত জীবনের নানা বিষয় ভেবে দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। এর ফলে, সেই ব্যক্তি খুব সহজে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে প্যানিক অ্যাটাকের দ্বারা আক্রান্ত হন। তবে, দুশ্চিন্তা করলেই যে কোনও ব্যক্তি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বেন, তেমন কোনও কথা নেই।
Disclaimer: Medical Science is an ever evolving field. We strive to keep this page updated. In case you notice any discrepancy in the content, please inform us at [email protected]. You can futher read our Correction Policy here. Never disregard professional medical advice or delay seeking medical treatment because of something you have read on or accessed through this website or it's social media channels. Read our Full Disclaimer Here for further information.