Last Updated on December 30, 2022 by Team THIP
সারমর্ম
সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন হোয়াটস্যাপ গ্রুপে ভিডিও সহযোগে একটি মেসেজ ছড়িয়ে পড়েছে । এই মেসেজ এর ভিডিও তে দেখানো হয় একটি কাঁটা দুটি বিন্দুর মাঝে বিভিন্ন গতিতে চলছে ।মেসেজটিতে দাবি করা হয়েছে যে দুটি বিন্দুর মাঝখানে কাঁটা চলা পর্যন্ত্য নিশ্বাস ধরে রাখতে পারলে বোঝা যাবে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো আছে । আমরা ফ্যাক্ট চেক করে দেখেছি এই ধরণের অনলাইন গেমস এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এই দাবির অধিকাংশ্যই মিথ্যা ।
দাবি
“আপনার ফুসফুস সুস্থ্য আছে কিনা জেনে নিন মাত্র ৩০ সেকেন্ডস এই” – এই ধরণের শীর্ষক সহ বেশ কিছু পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া তে ভাইরাল হয়েছে । এই পোস্টগুলো তে একটি ভিডিও দেখানো হয় এবং দাবি করা হয়, “যদি আপনি পয়েন্ট A থেকে পয়েন্ট B পর্যন্ত্য শ্বাস ধরে রাখতে পারেন, তাহলে আপনি সুরক্ষিত ।”
নিচে সেইরকমই একটি বিভ্রান্তিকর ভিডিও উদাহরণ স্বরূপ দেওয়া হলো এছাড়া ফেসবুকেও দেখা যাবে এইরকম পোস্ট ।
এই ধরণের ভুল দাবি আমরা এর আগে কোরোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়েও ভাইরাল হতে দেখেছি। বহু প্রচলিত এই ভিত্তিহীন ভাইরাল পোস্ট এর আরো অনেক উদাহরণ দেখা যাবে এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে ।
সত্যানুন্ধান
বৈজ্ঞানিকভাবে কি করে ফুসফুসের শক্তি পরিমাপ করা যায় ?
চিকিৎসা বিজ্ঞানে ফুসফুসের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিভিন্ন উপায় আছে
ব্রিটিশ লাং ইনস্টিটিউট (BLI) অনুযায়ী যেই সমস্ত পরীক্ষা দ্বারা ফুসফুসের স্বাস্থ্য মাপা হয় তার মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি গুলো হলো ফ্লো টেস্ট, স্পাইরোমেট্রি, ব্রোঞ্চলিডেটর রেস্পন্সিভনেস টেস্ট , লাং ভলিউম মেশারমেন্ট, গ্যাস ট্রান্সফার টেস্ট, ইত্যাদি ।
ড: ভিভেক সিংহ, MD (Pulmonology) জানান “ বৈজ্ঞানিক ভাবে অনেক পরীক্ষা আছে যেখানে ফুসফুসের শক্তি পরিমাপ করা যায় । খুব সাধারণ টেস্ট হলো স্পাইরোমেট্রি টেস্ট । এটি একটি সাধারণ নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা যেখানে শুধু একটি মেশিনে ফুঁ দিতে হবে এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের একটি পরিমাপ করা যায়।”
শ্বাস ধরে রেখে কি ফুসফুসের শক্তির পরীক্ষা করা যেতে পারে?
না। এই ধরনের পরীক্ষাগুলি চিকিৎসাগতভাবে বৈধ নয় এবং এই ধরনের পরীক্ষার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই ।
ড: সিংহের কথা অনুযায়ী, “এইগুলো কোনো চিকিৎসা বিজ্ঞানের পদ্ধতি নয় । সাধারণ পদ্ধতিতে একজন ডাক্তার রুগী পরীক্ষার সময় এইধরণের হালকা ব্যায়াম করে থাকেন কিন্তু তার মানে এই নয় যে এটি একটি স্বীকৃত উপায়।”
শ্বাস প্রশ্বাস এর কোনো কষ্টে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ । এই ধরণের ঘরোয়া অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর ভরসা না করে ভালো ।
Disclaimer: Medical Science is an ever evolving field. We strive to keep this page updated. In case you notice any discrepancy in the content, please inform us at [email protected]. You can futher read our Correction Policy here. Never disregard professional medical advice or delay seeking medical treatment because of something you have read on or accessed through this website or it's social media channels. Read our Full Disclaimer Here for further information.