সারমর্ম

অনেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং স্বাস্থ্য ব্লগ দাবি করে যে খাবার খাওয়ার সময় জল পান করলে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। আমরা ফ্যাক্ট চেক করে দেখেছি দাবিটি মিথ্যা।
দাবি
একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিও তে দাবি করা হয়েছে যে, খাওয়ার মাঝে জল খেলে বিপদ হয়। ভিডিও টি নিচে দেওয়া হলো ।
এইরকম দাবি বেশ কিছু নিউজ ওয়েবসাইট এবং ব্লগ পোস্টে ও করা হয়েছে ।
ফ্যাক্ট চেক
খাবারের সময় পানি পান করলে কি হজমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে?
না। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে খাবারের সময় পানি পান করলে হজমে ব্যাঘাত ঘটে।
উপরন্তু একটি রিসার্চ এ দেখা যায়, খাওয়ার সময় জল খেলে অনেকেই কিছুটা কম পরিমান খাওয়ার খেয়ে থাকে । যেই সমস্ত লোক অধিক ওজন সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য এই পদ্ধতি তা উপকারী হতে পারে ।
1979 গবেষণাতে দেখা গেছে যে মানুষের পাঁচন প্রক্রিয়াতে যে গ্যাস্ট্রিক জুস কাজ করে, তা বিভিন্ন খাবারের হিসেবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে | এর ফলে তরল বা শক্ত যেকোনো খাবারই আমরা সহজে হজম করতে পারি | জল খেলে গ্যাস্ট্রিক জুস পাতলা হয়ে গিয়ে হজম শক্তি দুর্বল করে দেবে – এই ধারণা তা নিছকই ভুল ।
বিভিন্ন বড় হাসপাতাল, যেমন আমেরিকার মেয়ো ক্লিনিক ও ভারতের যশোদা হাসপাতাল ও এই ব্যাপারে সচেতনতামূলক আর্টিকেল পাবলিশ করে জানিয়েছে যে খাবার এর সাথে জল খাওয়ার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই |

অনেকেই খাবার খাওয়ার সময় জল না খাওয়া কে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মত বলে দাবি করে থাকে । কিন্তু আয়ুর্বেদ মতে উল্টোটাই পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অমৃতা আয়ুর্বেদ রিসার্চ সেন্টারের রিসার্চ ডিরেক্টর ড: পি রামমনোহর । তিনি জানান, “খাওয়ার খাওয়ার সময় জল না খোয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না । আয়ুর্বেদ মতে বলা হয় একটু একটু জল পান করতে । তবে একসাথে ঢক ঢক করে অনেকটা জল খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো । “
জল পান করার কোন নির্দিষ্ট সময় আছে কি?
না । জল পান করার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই।
কিছু স্বল্প পরিমান রিসার্চ এ দেখা গেছে যে খাবারের আগে এবং ব্যায়ামের আগে এবং পরে জল পান করলে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
2019 সালের একটি রিসার্চ এ দেখা যায় যে ইচ্ছে অনুযায়ী জল খাওয়া শরীরে সোডিয়ামের ঘাটতি থেকে রক্ষা করতে পারে ।
এই ব্যাপারেও আয়ুর্বেদ মত পরিষ্কার । ড: রামমনোহর জানান, “আয়ুর্বেদ জল খাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় সুপারিশ করে না । যখন তেষ্টা পাবে তখন ই জল খাওয়া উচিত । তেষ্টা চেপে রাখা উচিত না । জল সবসময় আস্তে আস্তে অল্প পরিমানে পান করা উচিত । “
Disclaimer: Medical Science is an ever evolving field. We strive to keep this page updated. In case you notice any discrepancy in the content, please inform us at [email protected]. You can futher read our Correction Policy here. Never disregard professional medical advice or delay seeking medical treatment because of something you have read on or accessed through this website or it's social media channels. Read our Full Disclaimer Here for further information.