Last Updated on May 7, 2020 by Team THIP
সারমর্ম
একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দাবি করা হচ্ছে যে গরম ডাবের জল খেলে ক্যান্সার ঠিক হয়ে যাবে | মেসেজটিতে আরো দাবি করা হয় যে মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের পরিচালক ড। রাজেন্দ্র বাডওয়ে এই উক্তিটি করেছেন | আমরা দাবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছি এবং এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে মনে করেছি।
দাবি
একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় দাবী করা হচ্ছে যে গরম ডাবের জল ক্যান্সার নিরাময় করতে সক্ষম | মেসেজে এ বলা হচ্ছে যে উত্তপ্ত ডাবের জল এবং নারকেল ফালির এই সংমিশ্রণটি “ক্ষারক” (আলকালীন) এবং এটি কেবল শরীরের ক্ষতিকারক কোষগুলিকেই মেরে ফেলবে। আরো বলা হয়েছে যে মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের পরিচালক ড। রাজেন্দ্র বাডওয়ে এই দাবিটি অনুমোদন করেছেন |
সত্যানুন্ধান
ড। রাজেন্দ্র বাডওয়ে এর সম্মন্ধে কি বলছেন?
ড। রাজেন্দ্র বাডওয়ে এবং টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার এই দাবি সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে। মিডিয়া রিপোর্টগুলি এখানে এবং এখানে রয়েছে।
গরম ডাবের জল কি সত্যিই ক্যান্সার সারাতে সক্ষম?
দাবিটি বিশ্বের প্রধান ফ্যাক্ট চেক প্ল্যাটফর্মগুলির দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে সিনিয়র ক্যান্সার স্পেশালিস্টদের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। (সূত্র: এখানে ক্লিক করুন এবং এখানে ক্লিক করুন)
আমরা সিনিয়র ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ মনিষ সিংহলের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, “দাবিটি ড। রাজেন্দ্র বাডওয়ে নিজেই অস্বীকার করেছেন । অনেক রোগী তাদের নিয়মিত চিকিত্সা বন্ধ করে এই রূপকথার পিছনে দৌড়োচ্ছেন । এটি সম্পূর্ণ অসত্য। নারকেল জল বা ডাবের জল এর প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে | এটি আমাদের হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে | তবে কোনোভাবেই, গরম বা ঠান্ডা, এটি ক্যান্সার নিরাময় করতে পারে না ”
ক্ষারীয় দ্রবণ কি ক্যান্সার নিরাময় করতে সক্ষম?
পোস্টটি দাবি করেছে যে গরম নারকেল জলের ক্যান্সার নিরাময়ের ক্ষমতা তার “ক্ষারক” প্রকৃতি থেকে আসে। তাই আমরা জানতে চাই, ডাবের জলনা হোক, অন্য কোনো ক্ষারক (আলকালীন) খাদ্য কি ক্যান্সার সারাতে সাহায্য করতে পারে? এ সম্পর্কে ডঃ সিংহল বলেছেন, ”এই ক্ষারযুক্ত খাবার থেকে ক্যান্সার নিরাময়ের ব্যাপারটি একটি রূপকথা | বিভিন্ন পরীক্ষাগারে কিছু গবেষণা হয়েছে যাতে দেখা গেছে ক্ষারক বস্তু দিয়ে ক্যান্সার সেল মারা যায় | কিন্তু তার মানে এই নয় যে ক্ষারক বস্তু খেলে আমাদের শরীরের ক্যান্সার সেল মরে যাবে। মানুষের শরীর বিভিন্নভাবে কাজ করে। খাবারের মাধ্যমে শরীরের পিএইচকে অ্যাসিডিক বা ক্ষারীয় করা যায় না। যদি ধরেও নি যে কোনো ব্যক্তি কোনওভাবে নিজের শরীরের পিএইচ পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়, তাহলে সেটি তাকে আইসিইউতে ভর্তি করে দেওয়ার মতন অসুস্থ্য করে তুলবে ।
Disclaimer: Medical Science is an ever evolving field. We strive to keep this page updated. In case you notice any discrepancy in the content, please inform us at [email protected]. You can futher read our Correction Policy here. Never disregard professional medical advice or delay seeking medical treatment because of something you have read on or accessed through this website or it's social media channels. Read our Full Disclaimer Here for further information.